ভাগভাটোয়ারা নিয়ে অমিল

চাঁদপুর বিআরটিএ'তে ৬২৭ টি সিএনজির রুট পারমিটের রাজস্ব আত্মসাৎ (পর্ব-১)

Passenger Voice    |    ১২:১৯ এএম, ২০২৪-০৪-২১


চাঁদপুর বিআরটিএ'তে ৬২৭ টি সিএনজির রুট পারমিটের রাজস্ব আত্মসাৎ (পর্ব-১)

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম দুর্নীতি পর এবার ৬২৭ টি সিএনজি অটোরিকশার রুট পারমিট ইস্যু করতে সরকারের ৫,৫০,৭৩৩ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ'র চাঁদপুর সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসাইন। সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ রাষ্ট্রদ্রৌহিতার শামিল বিষয়টি বিবেচনা করে ইতিমধ্যে এই ধরনের অপরাধে বিআরটিএ'র কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে বর্তমান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

আফজাল হোসাইনের বিরুদ্ধে এর আগে ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেলে ঘুষের বিনিময়ে না দেখে গাড়ির ফিটনেস প্রদানের অভিযোগ উঠলে কর্তৃপক্ষ তাকে চাঁদপুর সার্কেলে বদলী করেছিলেন। চাঁদপুর সার্কেলে বদলী হওয়ার পরেও ঘুষ নিয়ে না দেখে ফিটনেস প্রদান করতেন এই কর্মকর্তা, এই অভিযোগ গুলো তদন্ত হলেও দৃশ্যমান কোন শাস্তি পায়নি এই মোটরযান পরিদর্শক।  ফলে বিআরটিএ’র সব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করা যায় এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করেছেন তিনি।  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ'র দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শকদের স্থায়ী কার্যপ্রণালী/কর্মবন্টন নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ, ১৬ ধারার ১৬.২.৬ ধারায় বলা হয়েছে যে সকল জেলায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার পদ নেই, সে সকল জেলার ব্যাংক কর্তৃক আদায়কৃত রাজস্বের সমন্বয়সাধন, জমাকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে সঠিকভাবে জমা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতকরণ এবং রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আগত মোটরযানের কাগজপত্র পরীক্ষাপূবর্ক রাজস্ব আদায় নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব মোটরযান পরিদর্শকের। স্পষ্ট দায়িত্ববন্টন থাকার পরেও বিআরটিএ’র তদারকির অভাবে কৌশলে ৬৩৯ টি সিএনজি অটোরিকশার রুট পারমিট ইস্যু করার চেষ্টা করছে চাঁদপুর সার্কেল। 

বিআরটিএকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান যারপরণায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি কোন ভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না। একদিকে সরকারের ভাবমুক্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে অন্যদিকে দুর্নীতির দায়ে রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে রুট পারমিট ইস্যু করতে গিয়ে ৬৩৯ টি সিএনজি অটোরিকশার বিপরীতে ৫,৫০,৭৩৩ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে সার্কেল অফিসটির দায়িত্বে থাকা মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসাইন ও সাবেক সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মিজানুর রহমান।  

প্যাসেঞ্জার ভয়েসের অনুসন্ধান বলছে, সারাদেশে সিএনজি অটোরিকশার রুট পারমিট ইস্যু করতে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয় গাড়ি প্রতি ১৬০৫ টাকা। বিআরটিএ’’র সার্ভারে সঠিক ভাবে ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদ ও রেজিষ্ট্রেশন সনদ ও মালিকানা বদলীর ফি দেখা গেলেও রুট পারমিটের টাকা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে পারেনা। বিআরটিএর প্রযুক্তিগত এই দুর্বলতাতে কাজে লাগিয়ে ৩৪৪ টি সিএনজি অটোরিকশার বিপরীতে ৮২৩ টাকা ও ২৯৫ টি সিএনজি অটোরিকশার বিপরীতে ৬৫০ টাকা করে রাজস্ব প্রদান করে ৫,৫০,৭৩৩ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে বিআরটিএর এই সার্কেলের কর্মকর্তারা। 

বিআরটিএর দুর্নীতি বন্ধ ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিটি বিভাগে একজন করে পরিচালক (ইঞ্জিঃ) কে দায়িত্ব দিয়েছে। তবে সঠিক তদারকি না থাকায় বিআরটিএ’র এই অফিসে রাজস্ব আত্মসাৎ এর মতো ঘটনাও নজরে আসেনি সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (ইঞ্জি:) । সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মিজানুর রহমান ও মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসেন এর দায়িত্ব পালন সময়ে এমন অনিয়ম ঘটলেও বিপত্তি বাঁধে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মিজানুর রহমানের বদলীর পরে। রংপুর থেকে বদলী নিয়ে কুমিল্লা বিআরটিএ’তে আসা সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মো. ফারুক আলমকে কুমিল্লা সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চাঁদপুর সার্কেলের দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ। ০৪ মার্চ এই সার্কেলে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যোগদান করার পর ফারুক আলমের নজরে আসে এই অনিয়ম দুর্নীতি। ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) ফারুক আলমের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করে মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসেন। ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দুই জনের মধ্যে মিল না হওয়ায় ১৪ মার্চ ফারুক আলম মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসাইনকে নং-৩৫.০৩.০০৪০.০০১.৩১.০০১.২৪-১৬২ সংক্ষক স্মারকমূলে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর প্যানেলে পেন্ডিং থাকা ৬২৭ টি সিএনজি অটোরিক্সার আবেদিত রুট পারমিটের সকল ধরণের হালনাগাদ কাগজপত্র ও সরকারী রাজস্বসহ উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়। 

সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) ফারুক আলম শোকজ করার পরে কয়েকদিনের মাথায় তার অতিরিক্ত দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (আইন) মো: আসাদুজ্জামান এর মাধ্যমে বিআরটিএ’’র প্রশাসন শাখা ম্যানেজ করে ফারুক আলমের দায়িত্ব কর্তন করে নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দায়িত্ব প্রদান করার ব্যবস্থা করেন মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন দায়িত্ব গ্রহনের পরে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে যায় আফজাল হোসেন। আসাদুজ্জামান বিআরটিএ’’র সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের ঘুষ ও বদলী বাণিজ্যের টাকা লেনদেনের ক্যাশিয়ার ছিলেন বলে সংস্থাটির বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

অনুসন্ধান বলছে, সিএনজি অটোরিকশার রুট পারমিট ফি ১৬০৫ টাকা করে সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও চাঁদপুর-থ-১১-৬৭০৩, ১১-৬৭০৪, ১১-৬৭০৫, ১১-৬৭০৬, ১১-৬৭৮৬, ১১-৬৭৮৭, ১১-৬৭৮৮, ১১-৬৭৮৯, ১১-৬৭৯০, ১১-৬৭৯১, ১১-৬৭৯২, ১১-৬৯০৪, ১১-৬৯৪১, ১১-৬৮১৮, ১১-৭০৪৭, ১১-৭০৫১, ১১-৭০৫২, ১১-৭০৫৩, ১১-৭০৫৪, ১১- ৭০৫৫, ১১-৭০৫৬, ১১-৭০৫৭, ১১-৭০৫৮, ১১-৭০৫৯, ১১-৭০৬০, ১১-৭০৮১, ১১-৭০৮৩, ১১-৭০৮৪, ১১-৭০৮৫, ১১-৭০৮৬, ১১- ৭১৬১, ১১-৭১৬২, ১১-৭৩৬১, ১১-৭৩৮৫, ১১-৭৩৮৬, ১১-৭৩৮৭, ১১-৭৩৮৮, ১১-৭৩৮৯, ১১-৭৩৯৬, ১১-৭৪৭৭, ১১-৭৫২০, ১১- ৭৫২১, ১১-৭৫২২, ১১-৭৫২৩, ১১-৭৫২৪, ১১-৭৫২৫, ১১-২৫৮৬, ১১-৭৫৮৭, ১১-৭৫৮৮, ১১-৭৫৮৯, ১১-৭৫৯০, ১১-৭৫৯১, ১১- ৭৫৯২, ১১-৭৫৯৩, ১১-৭৫৯৪, ১১-৭৬০৬, ১১-৭৬১২, ১১-৭৬১৩, ১১-৭৬২৬, ১১-৭৬২৭, ১১-৭৬৪৭, ১১-৭৬৪৮, ১১-৭৬৪৯, ১১- ৭৬৫০, ১১-৭৬৫১, ১১-৭৬৫২, ১১-৭৬৫৩, ১১-৭৬৫৪, ১১-৭৬৫৫, ১১-৭৬৫৬, ১১-৭৬৫৭, ১১-৭৬৫৭, ১১-৭৬৫৮, ১১-৭৬৫৯, ১১- ৭৬৬০, ১১-৭৬৬১, ১১-৭৬৬২, ১১-৭৬৬৩, ১১-৭৬৬৪, ১১-৭৬৬৫, ১১-৭৬৬৬, ১১-৭৬৬৭, ১১-৭৬৭৬, ১১-৭৬৭৭, ১১-৭৬৮৩, ১১- ৭৬৮৪, ১১-৭৬৮৫, ১১-৭৬৮৬, ১১-৭৬৮৭, ১১-৭৬৯৯, ১১-৭৭০০, ১১-৭৭০১, ১১-৭৭০৩, ১১-৭৭০৪, ১১-৭৭০৫, ১১-৭৭০৬, ১১- ৭৭০৭, ১১-৭৭০৮, ১১-৭৭০৯, ১১-৭৭১০, ১১-৭৭৪৭, ১১-৭৭৪৮, ১১-৭৭৪৯, ১১-৭৭৫০, ১১-৭৭৫৬, ১১-৭৭৫৭, ১১-৭৭৫৮, ১১- ৭৭৬৯, ১১-৭৭৭০, ১১-৭৭৭১, ১১-৭৭৭২, ১১-৭৭৭৩, ১১-৭৭৭৪, ১১-৭৭৭৫, ১১-৭৭৭৬, ১১-৭৭৭৭, ১১-৭৭৭৮, ১১-৭৭৭৯, ১১- ৭৭৮০, ১১-৭৭৮১, ১১-৭৭৮২, ১১-৭৭৮৩, ১১-৭৭৮৪, ১১-৭৭৮৫, ১১-৭৭৮৬, ১১-৭৭৮৭, ১১-৭৭৮৮, ১১-৭৭৮৯, ১১-৭৭৯০, ১১- ৭৭৯১, ১১-৭৭৯২, ১১-৭৭৯৩, ১১-৭৭৯৪, ১১-৭৭৯৫, ১১-৭৭৯৬, ১১-৭৭৯৭, ১১-৭৭৯৮, ১১-৭৭৯৯, ১১-৭৮০০, ১১-৭৮০১, ১১- ৭৮০২, ১১-৭৮০৩, ১১-৭৮০৪, ১১-৭৮০৫, ১১-৭৮০৬, ১১-৭৮০৭, ১১-৭৮০৮, ১১-৭৮০৯, ১১-৭৮১০, ১১-৭৮১১, ১১-৭৮৩৫, ১১- ৭৮৩৬, ১১-৭৮৩৯, ১১-৭৮৪০, ১১-৭৮৪১, ১১-৭৮৪২, ১১-৭৮৪৩, ১১-৭৮৪৪, ১১-৭৮৫৪, ১১-৭৮৫৫, ১১-৭৮৫৬, ১১-৭৮৫৭, ১১-৭৮৫৮, ১১-৭৮৫৯, ১১-৭৮৬০, ১১-৭৮৬১, ১১-৭৮৬২, ১১-৭৮৬৩, ১১-৭৮৬৫, ১১-৭৮৬৬, ১১-৭৮৬৭, ১১-৭৮৬৮, ১১-৭৮৬৯, ১১- ৭৮৭০, ১১-৭৮৭২, ১১-৭৮৭৩, ১১-৭৮৯০, ১১-৭৮৯১, ১১-৭৮৯২, ১১-৭৮৯৪, ১১-৭৮৯৫, ১১-৭৮৯৭, ১১-৭৮৯৮, ১১-৭৯০০, ১১- ৭৯০১, ১১-৭৯০২, ১১-৭৯০৩, ১১-৭৯০৪, ১১-৭৯০৫, ১১-৭৯০৬, ১১-৭৯০৭, ১১-৭৯০৮, ১১-৭৯০৯, ১১-৭৯১০, ১১-৭৯১১, ১১- ৭৯১২, ১১-৭৯১৩, ১১-৭৯১৪, ১১-৭৯১৫, ১১-৭৯১৮, ১১-৭৯১৯, ১১-৭৯২০, ১১-৭৯২১, ১১-৭৯২২, ১১-৭৯২৩, ১১-৭৯২৪, ১১- ৭৯২৫, ১১-৭৯২৬, ১১-৭৯২৭, ১১-৭৯২৮, ১১-৭৯২৯, ১১-৭৯৩০, ১১-৭৯৩১, ১১-৭৯৩৩, ১১-৭৯৩৪, ১১-৭৯৩৫, ১১-৭৯৩৬, ১১- ৭৯৩৭, ১১-৭৯৩৮, ১১-৭৯৬০, ১১-৭৯৬১, ১১-৭৯৬২, ১১-৭৯৬৩, ১১-৭৯৬৪, ১১-৭৯৬৫, ১১-৭৯৬৬, ১১-৭৯৬৭, ১১-৭৯৬৮, ১১- ৭৯৬৯, ১১-৭৯৭০, ১১-৭৯৭১, ১১-৮০০৯, ১১-৮০১০,১১-৮০১১, ১১-৮০১২, ১১-৮০১৩, ১১-৮০১৪, ১১-৮০১৫, ১১-৮০১৬, ১১- ৮০১৭, ১১-৮০১৮, ১১-৮০১৯, ১১-৮০২০, ১১-৮০২১, ১১-৮০২২, ১১-৮০২৩, ১১-৮০২৪, ১১-৮০২৫, ১১-৮০২৬, ১১-৮০২৭, ১১-৮০২৮, ১১-৮০২৯, ১১-৮০৩০, ১১-৮০৩১, ১১-৮০৩২, ১১-৮০৩৩, ১১-৮০৩৪, ১১-৮০৩৫, ১১-৮০৩৬, ১১-৮০৩৭, ১১-৮০৩৮, ১১- ৮০৩৯, ১১-৮০৪০, ১১-৮০৪১, ১১-৮০৪২, ১১-৮০৬৩, ১১-৮০৬৫, ১১-৮০৬৬, ১১-৮০৬৭, ১১-৮০৬৮, ১১-৮০৬৯, ১১-৮০৭০, ১১- ৮০৭১, ১১-৮০৭২, ১১-৮০৭৩, ১১-৮০৭৪, ১১-৮০৭৫, ১১-৮০৭৬, ১১-৮০৭৭, ১১-৮০৭৮, ১১-৮০৭৯, ১১-৮০৮০, ১১-৮০৮২, ১১- ৮০৮৩, ১১-৮০৮৪, ১১-৮০৮৫, ১১-৮০৮৬, ১১-৮০৮৭, ১১- ৮০৮৮, ১১-৮০৮৯, ১১-৮০৯০, ১১-৮০৯১, ১১-৮০৯২, ১১-৮০৯৩, ১১-৮০৯৪, ১১-৮০৯৫, ১১-৮০৯৬, ১১-৮০৯৭, ১১-৮০৯৮, ১১- ৮০৯৯, ১১-৮১০০, ১১-৮১০১, ১১-৮১০২, ১১-৮১০৩, ১১-৮১০৪, ১১-৮১০৫, ১১-৮১০৭, ১১-৮১০৮, ১১-৮১৪৯, ১১-৮১৫০, ১১- ৮১৫১, ১১-৮১৫৩, ১১-৮১৫৪, ১১-৮১৫৫, ১১-৮১৫৬, ১১-৮১৫৭, ১১-৮১৫৮, ১১-৮১৬০, ১১-৮১৬১, ১১-৮১৭৯, ১১-৮১৮০, ১১- ৮১৮১, ১১-৮১৮৯, ১১-৮১৯০, ১১-৮১৯১, ১১-৮১৯২, ১১-৮১৯৩, ১১-৮২০৭, ১১-৮২০৯, ১১-৮২১২, ১১-৮২১৩, ১১-৪২১৪, ১১- ৪২১৫, ১১-৪২১৬ এই ৩৪৪ টি সিএনজি অটোরিকশার বিপরীতে ৮২৩ টাকা করে রুট পারমিট ফি সরকারের কোষাগারে জমা প্রদান করেন। এই ঘটনায় গাড়ি প্রতি ৭৮২ টাকা করে রাজস্ব আত্মসাৎ হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। ৩৪৪ টি সিএনজি অটোরিকশায় ২,৬৯,০০৮ টাকা আত্মসাদ করার চেষ্টা করেছে। 

অন্যদিকে নিম্নে উল্লেখিত ২৯৫ টি সিএনজি অটোরিকশার বিপরীতে ৬৫০ টাকা করে ফি জমা করে গাড়ি প্রতি ৯৫৫ টাকা করে রাজস্ব আত্মসাৎ এর চেষ্টা চালিয়ে এই কর্মকর্তারা। এতে সরকারের ২,৮১,৭২৫ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। 

রেজিষ্ট্রেশন নম্বার গুলো হলো- চাঁদপুর-থ-১১-৬৭০২, ১১-৬৭১৪, ১১-৬৭১৫, ১১- ৬৭১৬, ১১-৬৭১৭, ১১-৬৭১৯, ১১-৬৭২০, ১১-৬৭২১, ১১-৬৭২২, ১১-৬৭২৩, ১১-৬৭২৪, ১১-৬৭২৫, ১১-৬৭২৬, ১১-৬৭২৭, ১১- ৬৭২৮, ১১-৬৭২৯, ১১-৬৭৩০, ১১-৬৭৩১, ১১-৬৭৩২, ১১-৬৭৩৩, ১১-৬৭৩৫, ১১-৬৭৪৫, ১১-৬৭৫৩, ১১-৬৭৫৮, ১১-৬৭৬৩, ১১- ৬৭৯৩, ১১-৬৭৯৬, ১১-৬৭৯৭, ১১-৬৭৯৮, ১১-৬৭৯৯, ১১-৬৮০০, ১১-৬৮০১, ১১-৬৮০২, ১১-৬৮০৩, ১১-৬৮০৪, ১১-৬৮০৬, ১১- ৬৮৮৫, ১১-৬৮৮৬, ১১-৬৮৮৭, ১১-৬৮৮৮, ১১-৬৮৮৯, ১১-৬৮৯০, ১১-৬৮৯১, ১১-৬৮৯২, ১১-৬৮৯৩, ১১-৬৮৯৪, ১১-৬৮৯৫, ১১- ৬৮৯৬, ১১-৬৮৯৭, ১১-৬৮৯৮, ১১-৬৮৯৯, ১১-৬৯০০, ১১-৬৯০২, ১১-৬৯২৬, ১১-৬৮৪৫, ১১-৬৮৫৩, ১১-৬৮৫৪, ১১-৬৮৫৫, ১১- ৬৮৫৬, ১১-৬৮৫৭, ১১-৬৮৫৮, ১১-৬৮৫৯, ১১-৬৮৬৩, ১১- ৬৮৬৪, ১১-৬৮৬৫, ১১-৬৮৬৬, ১১-৬৮৬৭, ১১-৬৮৬৮, ১১-৬৮৬৯, ১১-৬৮৭০, ১১-৬৮৭১, ১১-৬৮৭২, ১১-৬৮৭৩, ১১-৬৮৭৪, ১১- ৬৮৭৫, ১১-৬৮৭৬, ১১-৬৮৭৭, ১১-৬৮৭৮, ১১-৬৮৭৯, ১১-৬৮৮০, ১১-৬৮৮১, ১১-৬৮৮২, ১১-৬৮৮৩, ১১-৬৮৮৪, ১১-৬৮০৮, ১১- ৬৮০৯, ১১-৬৮১০, ১১-৬৮১১, ১১-৬৮১২, ১১-৬৮১৩, ১১-৬৮১৪, ১১-৬৮২৯, ১১-৬৮৪৪, ১১-৬৯৩৬, ১১-৬৯৪৬, ১১-৬৯৫২, ১১-৬৯৫৫, ১১-৬৯৯১, ১১- ৬৯৯৩, ১১-৬৯৯৪, ১১-৬৯৯৫, ১১-৬৯৯৬, ১১-৬৯৯৭, ১১-৬৯৯৮, ১১-৬৯৯৯, ১১-৭০০০, ১১-৭০০১, ১১-৭০০২, ১১-৭০০৩, ১১- ৭০০৪, ১১-৭০০৫, ১১-৭০০৬, ১১-৭০০৭, ১১-৭০০৮, ১১-৭০০৯, ১১-৭০১০, ১১-৭০১১, ১১-৭০১২, ১১-৭০১৩, ১১-৭০৬৭, ১১- ৭০৬৮, ১১-৭০৬৯, ১১-৭০৮৭, ১১-৭০৮৮, ১১-৭০৮৯, ১১-৭০৯০, ১১-৭০৯১, ১১-৭০৯২, ১১-৭০৯৩, ১১-৭০৯৪, ১১-৭১০২, ১১- ৭১০৩, ১১-৭১০৪, ১১-৭১৩৯, ১১-৭১৭৪, ১১-৭১৭৫, ১১-৭১৭৬, ১১-৭১৭৭, ১১-৭১৭৮, ১১-৭১৭৯, ১১-৭১৮০, ১১-৭১৮১, ১১- ৭১৮২, ১১-৭১৮৪, ১১-৭২৪৬, ১১-৭২৫৪, ১১-৭২৫৫, ১১-৭২৫৬, ১১-৭২৫৭, ১১-৭২৫৮, ১১-৭২৫৯, ১১-৭২৬১, ১১-৭২৬২, ১১- ৭২৬৩, ১১-৭২৭৩, ১১-৭২৭৪, ১১-৭৩০৮, ১১-৭৩০৯, ১১-৭৩১২, ১১-৭৩১৩, ১১-৭৩২১, ১১-৭৩২২, ১১-৭৩২৩, ১১-৭৩২৪, ১১-৭৩৪১, ১১-৭৩৪২, ১১-৭৩৪৩, ১১-৭৩৪৪, ১১-৭৩৪৫, ১১-৭৩৪৬, ১১-৭৩৪৭, ১১-৭৩৪৮, ১১-৭৩৫০, ১১-৭৩৭৬, ১১-৭৩৯৪, ১১- ৭৩৯৫, ১১-৭৪০৯, ১১-৭৪১০, ১১-৭৪১১, ১১-৭৪১২, ১১-৭৪১৩, ১১-৭৪১৪, ১১-৭৪১৫, ১১-৭৪১৬, ১১-৭৪১৭, ১১-৭৪১৮, ১১- ৭৪১৯, ১১-৭৪২০, ১১-৭৪২৫, ১১-৭৪৪০, ১১-৭৪৫৮, ১১-৭৪৫৯, ১১-৭৪৬০, ১১-৭৪৬১, ১১-৭৪৬২, ১১-৭৫০০, ১১-৭৫০১, ১১- ৭৫০২, ১১-৭৫০৩, ১১-৭৫০৪, ১১-৭৫০৫, ১১-৭৫০৬, ১১-৭৫০৭, ১১-৭৫০৮, ১১-৭৫০৯, ১১-৭৫৩০, ১১-৭৫৩১, ১১-৭৫৩২, ১১- ৭৫৩৩, ১১-৭৫৩৪, ১১-৭৫৩৫, ১১-৭৫৮২, ১১-৭৫৮৩, ১১-৭৫৮৪, ১১-৭৫৮৫, ১১-৭৬১৪, ১১-৭৬১৫, ১১-৭৬১৬, ১১-৭৬১৭, ১১- ৭৬১৮, ১১-৭৬১৯, ১১-৭৬২০, ১১-৭৬২১, ১১-৭৬২২, ১১-৭৬২৩, ১১-৭৬৮৮, ১১-৭৬৮৯, ১১-৭৬৯০, ১১-৭৬৯১, ১১-৭৬৯২, ১১- ৭৬৯৩, ১১-৭৬৯৪, ১১-৭৬৯৫, ১১-৭৬৯৬, ১১-৭৭৩৮, ১১-৭৭৩৯, ১১-৭৭৪০, ১১-৭৭৪১, ১১-৭৭৪২, ১১-৭৭৪৩, ১১-৭৭৪৪, ১১- ৭৭৪৫, ১১-৭৭৪৬, ১১-৭৭৫১, ১১-৭৭৫২, ১১-৭৭৫৫, ১১-৭৮৩২, ১১-৭৮৩৩, ১১-৭৮৩৪, ১১-৭৮৩৭, ১১-৭৮৪৫, ১১-৭৮৪৬, ১১- ৭৯১৬, ১১-৭৯৪২, ১১-৭৯৪৩, ১১-৭৯৪৪, ১১-৭৯৪৫, ১১-৭৯৭৬, ১১-৭৯৭৭, ১১-৭৯৭৮, ১১-৭৯৭৯, ১১-৭৯৮০, ১১-৭৯৮১, ১১- ৭৯৮২, ১১-৮০৪৪, ১১-৮০৪৫, ১১-৮০৪৬, ১১-৮০৪৭, ১১-৮০৪৮, ১১-৮০৫০, ১১-৮০৫১, ১১-৮০৫২, ১১-৮০৫৩, ১১-৮০৫৪, ১১- ৮০৫৬, ১১-৮০৫৭, ১১-৮০৫৮, ১১-৮০৫৯, ১১-৮১২৬, ১১-৮১২৭, ১১-৮১২৮, ১১-৮১২৯, ১১-৮১৩০, ১১-৮১৩১, ১১-৮১৩২, ১১-৮১৩৩, ১১-৮১৩৪, ১১-৮১৪৭, ১১-৮১৮২, ১১-৮১৮৩, ১১-৮১৮৪, ১১-৮১৮৫, ১১-৮১৮৬, ১১-৮১৮৭, ১১-৮২০৩, ১১-৮২০৪, ১১- ৮২০৬।

রাজস্ব আত্মসাৎ এর ঘটনায় চাঁদপুর বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক আফজাল হোসেন প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, রুট পারমিট ইস্যু করার দায়িত্ব সহকারী পরিচালকের। আর প্যানেলে পেন্ডিং থাকা সিএনজি অটোরিকশা গুলোর রুট পারমিটের ডাটা সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) স্যার নিজে করেছেন। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানিনা। কর্মবন্টনে রাজস্ব দেখার দায়িত্ব মোটরযান পরিদর্শক এর এমন প্রশ্নে কোন উত্তর দেয়নি তিনি।

তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে চাঁদপুর বিআরটিএ থেকে অন্য সার্কেলে বদলী হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আসাদুজ্জামানকে দিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। 

তবে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আব্দুল্লাহ আল মামুন প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, রাজস্ব কম থাকার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি । পরবর্তীতে মোটরযান পরিদর্শককে আমি বাকি টাকা miscellaneous জমা দেয়ার পরে রুট পারমিট ইস্যু করা হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছি। 

রাজস্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এবং চেয়ারম্যানকে অবগত না করে শুধু এই ধরনের নির্দেশনা কেন দিয়েছেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিআরটিএর বেশ কয়েকজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ)।